সাধারণ
নাম : বিন্দু
আগাছা, মেঠো বিন্দ
আগাছা
বাংলা
নাম : মেঠো
বিন্দ আগাছা বা
হিরনখুড়ি।
বর্ণনা
: বহুবর্ষী সরু লম্বানেআ
গুল্ম। দূর্বল কান্ডযুক্ত
কিন্তু শক্তিশালী মূলাঞ্চল
যা ৬ মি.
খাড়া গভীরে প্রবেশ
করতে পারে।সরল পাতা
একান্তর বোটাযুক্ত, তীরাকৃতির
ও গোড়া লোবগুলি
খাজকাটা। ফুল একক
বা একত্রে (২-৩টি)
বের হয়, গোলাপী
বর্নের এবং পাপড়িগুলো সাদা
streak যুক্ত। গভীর মূলের
জন্য শুষ্কভূমিতে টিকে
থাকে। দূর্বল কান্ডের
জন্য গম গাছকে
জড়িয়ে ওঠে দক্ষিণ
ভারতে বিশটপ হিসেবে
ব্যবহৃত হয়।
বংশ
বিস্তার : বীজের
মাধ্যমে, পানি, পাখি,
খামার গাড়ির মাধ্যমে
অনেক দূরে ছড়ায়।
এর বীজ মাটিতে
৫০ বছর সজিব
থাকে এবং অতিথি
পাখির পাকস্থলীতে ১৪৪
ঘন্টা জীবিত থাকে।
আবাসস্থল
ও বিস্তৃতি : সমগ্র
আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা,
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
দ্বীপে বিস্তৃত ।
পরিত্যক্ত জমিতে দেখা
গেলেও চাষযোগ্য সব
জমিতে জন্মে। মাঝারি
আর্দ্রতা সম্পন্ন জমিতে
ভাল হয় তবে
গভীর মূলতন্ত্র থাকা
প্রতিকূল অবস্থা সহনশীল
। উর্বর মাটিতে
সবচেয়ে ভাল জন্মে
তবে অনুর্বর জমিতেও
বেচে থাকে।
ক্ষতিকারক
দিক :
এটি
ফসলের অনেক ফলন
কমায় - এরকম
আগাছার মধ্যে অন্যতম।
দীর্ঘদিন ধরে মাটির
অনেক গভীরে বেচে
থেকে একটি এলাকায়
স্থায়ী হয়। মাটিতে
আর্দ্রতা কম থাকলে
ফসলের সাথে পানির
জন্য প্রতিযোগিতা করে।
এই আগাছাটি ধান,
আলু, সবজি এবং
চা এর অন্যতম
প্রধান আগাছা। পাকিস্তানে
ইহা গম, ভুট্টা
ও আখের আগাছা
হিসেবেও পরিচিত।
আগাছা
ব্যবস্তাপনা :
পরিচার্যিক
:
এর
কলোনি সৃষ্টি হলে
উচ্ছেদ খুবই কঠিন।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে
নির্বাচিত কিছু ফসলে
সঠিক ও উপযেআগী
চাষাবাদের মাধ্যমে আলোকে
লিমিটিং
ফ্যাকটর করার কথা
বলা হয়েছে। চাষাবাদ
মোট প্রাপ্য শর্করা,
কমানোর মাধ্যমে মূলের
পরিমাণ কমিয়ে এর
মুতু ঘটাতে সাহায্য
করে।
চাষাবাদ
পদ্ধতি, শস্যাবর্তন এবং
আগাছানাশক এর সমন্বিত
প্রয়োগ ভাল ফলাফল
আনতে পারে।
রাসায়নিক
দমন : এককভাবে
২.৪ ডি
অথবা ৩ বছর
ধরে ভাষাবাদ ও
শস্যাবর্তনের মাধ্যমে প্রয়োগ
করলে আগাছার বিটপ
(shoot) কমায়। একই আগাছানাশক
বার বার ব্যবহার
বিভিন্ন প্রজাতির আগাছা
কমায়। I arvensis এর
প্রতিযোগী না থাকায়
উপদ্রব বাড়ে। কাফেনট্রাজোন
২৫ গ্রা/হে:
এইম (Aim) ৪০
ডি এফ এবং
বুকট্রিল M 40 EC - গজানোর
পরে প্রয়োগ।
উদ্ভিদতত্ত্ব
স্বভাব
:
বহুবর্ষী
পেচানো লতাজাতীয় বীরুত
মূল
: গভীর মূলী ০.৫-৩
মি. লম্বা।
কান্ড
: সরু, রোমশ মশৃন,
১-৩ মি.
লম্বা, মাটির উপরে
পেচানো বিস্তৃতি। রাজোম
মাংসল দড়ির মতো
যা মাটির ভিতরে
সহজেই প্রবেশ করে।
পাতা:
একান্তর, সরল, লম্বাবৃন্তযুক্ত,
অখন্ড মার্জিন, প্রশস্ত
আয়তাকার, ক্রমশ চিকন
হলেও শীর্ষ ভোতা,
গোড়ায় ভিতরে খাজযুক্,
মসৃন অথবা আংশিক
রোমশ, লম্বায় ৬
সে. মি. ও
প্রস্থে ৩ সে.
মি.
পুস্পবিন্যাস
: পাতার কক্ষে একক
ফুল জন্মে, একটি
বোটায় ১-৪টি
ফুল থাকে। সরু
ও লম্বায় ৬
সে.মি. ২টি
মঞ্জুরীপত্র ১-২.৫
সে.মি। বৃতি
৩ মি.মি.
লম্বা ও ঘন্টাকৃতি,
আয়তাকার, ভোতা, করোলা
ফানেলাকৃতির। সাদা ও
গোলাপী, মাঝে মধ্যে
লালচে মিশ্রন থাকতে
পারে। ৫টি পুংকেশর
যা করোলার সাথে
লেগে থাকে, যৌগিক
স্ত্রীকেশর সূতাকৃতির।
ফল
:ডিম্বাকার ক্যাপসিউল, ২-৪টি
বীজ।