বর্ণনা: ইহার উত্পত্তি মুলত ইউরোপ, কখনো
ক্ষুদ্রাকার, বীরুত্ জাতীয়, একবর্ষজীবি ইহার আকর্ষণীয় পত্রমূল, পাঢ় সবুজ
পাতা এবং
ইহার ক্ষুদ্র সাদা ফুল বা প্রান্তীয় ভাবে সজ্জিত আছে। কাল বর্ণের বীজ যা
সামান্য
স্ফীত, চীকন হালকা প্রান্তীয় উইং বৈশিষ্ট্য দ্বারা এই প্রজাতিকে সনাক্ত
করা যায়।
ইহা ২-৫ম শতাব্দীতে কোন কোন অঞ্চলের মানুষের খাদ্র হিসেবে ব্যবহার করা
হয় এযমন
নর্দান ইউরোপ, ঘন খননের মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রায় ২০০০ বছর আগের পুরানো সেই
যুগের
বীমা এখনও অঙ্করোদগমে স্বক্ষম।
জৈবিক বৈশিষ্ট্য: গ্রীষ্ম মন্ডলীয় অঞ্চলে ইহা
অঙ্কুরোদগমের প্রায় ৮ সপ্তাহের মধ্যে ফুল ধারণ করে এবং প্রায় ১০ সপ্তাহের
মধ্যে
বীজ উত্পন্ন করে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এরা ফুল এবং বীজ ধারণ করে। বীজ
উত্পাদনের
পরিমান নির্ভর করে মূলত শাখার বিস্তারের উপর তবে গড়ে প্রতিটি গাছই প্রচুর
পরিমানে
বীজ খুবই অল্প সময়ে উত্পন্ন করতে পারে। একটি বৃহত্ গাছ প্রায় ৫০০ ফল
(ক্যাপসুল)
ধারণ করে এবং প্রায় ৭৫০০ বীজ উত্পন্ন করতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায়
প্রতিটি
ক্যাপসুলে প্রায় ২৫টি করে বীজ থাকে কিন্ত পরবর্তী সময়ে ইহা প্রায় ক্যাপসুল
প্রতি
৫টি করে বীজ ধারণ করে। যকন উম্মুক্ত স্থানে জন্মায় ইহা প্রায় প্রতি মৌসুমে
দুটি
প্রজন্ম তৈরি করে। কোন কোন অঞ্চলে শস্য কর্তনের সময় ইহার দ্বিতীয় বা
তৃতীয় নোড
থেকে কেটে যায়। কর্তীয় স্থান হতে নতুন শস্য বের হয় এবং ফুল ও বীজ ধারণ করে
শীতের
পূর্বে।
সের্পিড, ঔযাসপ, মৌমাছী ইত্যাদি কীট পতঙ্গ দ্বারা ও
সামান্য পরিমানে পরাগায়ন হয়। ইহার ফুলের অনাকাঙ্খিত গন্ধ রয়েছে।
মোড়া, শূকর, গবাদীপশু। কবুতর এবং অন্যান্য পাখীর
মলের সাথে ইহাদের সজীব অবস্থায় পাওয়া যায়। স্বল্প দূরে মূলত: পশুপাখীর পায়
মানুষের
গায়ের সাথে লেগে থেকে বা পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। বাণিজ্যিক ভাবে
ইহা
শস্যের বীজের সাথে সাথে বিস্তার হয়। প্রত্নতাত্ত্বীক ভাবে বিভিন্ন খনন
প্রাপ্ত
উপাত্ত সসূহ থেকে গবেষনা করে পাওয়া যায় যে (i)Cheropodium album (ii)
Speryula
avensis প্রভূতির লৌহ যুগের বীজো অঙ্গুরোদগমেও সক্ষম।
আবাসস্থল ও বিস্তার:
বিশ্বের সকল অঞ্চলেই পাওয়া যায় তবে ইহা নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে ব্যাপক
ভাবে বিস্তৃত কিন্ত ইহা গীষ্ম মন্ডলীয় অঞ্চলেও বিস্তার লাভ রয়েছে এবং
শস্যের
ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ইহা এখন সব মহাদেশেই বিস্তৃত এবং বিশেষ করে
দানাদার উত্পাদনকারী
অঞ্চলে। ইহা পতিত উম্মুক্ত স্থানে জন্মাতে পছন্দ করে। ইহা পেসিডীয় এবং
হালকা
মাটিতে ভাল হয়। ইহা গম, মূল জাতীয় শস্য, আলু, ফ্লাক্স ওট এর সাথে সমতালে
বৃদ্ধি
লাভ করে।
ক্ষতির প্রকৃতি: নাতিশীতোষ্ণ
মন্ডলে ইহা শস্যের সাথে খুবই দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে। তবে ইহা কিছু দানাদার
এবং ডাল
জাতীয় শস্যের জন্য ভারতের একটি প্রচলিত আগাছা। পাকিস্থানের পাঞ্জাবে ইহা
একটি
অপ্রধান আগাছা হিসেবে পরিচিত এবং খুবই কম বিস্তৃত প্রধানত গম, বারসিম এবং
অন্যান্য
লবাণাক্ত অঞ্চলের শস্যের জন্য।