বাংল নাম - মরি শাক, নটে শাক, নটে, মেথাখুইরি
বর্ননাঃ ইহা বড় পাতাযুক্ত
বর্ষজীবি রবি শস্য, যা ৭৫ থেকে ১০০ সেমি পর্যন্ত উচ্চতা বিশিষ্ট। কান্ড সবুজ, প্রায়ই লালচে
লংয়ের
হয়ে থাকে।খারা ভাবে গ্রথিত মূল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে। পাতা একান্তর, অবস্থানে জন্মে
এবং
লম্বা পত্র পৃন্ডযুক্ত। ফুল সবুজ, সংক্ষিপ্ত এবং
একত্রিত হয়ে ছোট বলে
রুপান্তরিত। প্রায় গোলাকৃতির ফলের মধ্যে একটি করে উজ্জল
বাদামী অথবা কালো বীজ থাকে।
জীবনী
প্রকৃতি- এই বর্ষজীবি
বিরুত
কেবলমাত্র বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে । একটি গাছ বছরে
প্রায় ৭০০০ বীজ উত্পাদন করতে
পারে যা পানি অথবা বাতাস
দ্বারা বাহিত হয়।
আবাসস্থল ও
বিস্তৃতিঃ^ উত্পত্তিস্থল
পূর্ব
এশিয়া হতে পৃথিবীর বিষুবিয় ও ক্রান্তিয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। ভাল জল নিকাষি
জমি, খোলা
পরিত্যক্ত
স্থান এবং আবাদী জমি বিশেষ করে আয় মাটিতে গাছটি জন্মাতে দেখা যায়। নাইট্রোজেন ও
জৈব
উপাদনযুক্ত মাটিতে ভাল জন্মে এজন্য গাছটির মাধ্যম মাত্রার পানি প্রয়োজন।
ক্ষতিকারক
বৈশিষ্ট
-
প্রধানত বানিজ্যিক
বাগানে জন্মাতে দেখা যায়,
এবং
আখ ক্ষেতে তেমন
জন্মাতে দেখা যায় না। আগাছা হিসাবে
এর প্রভাব খুবই সামান্যই।
আগাছা
ব্যবস্থাপনা - চাষাবাদ গাছটি
জন্মাতে সাহাজ্য করে, ধান চাষের আগেই
চারা
গাছ ধংসের মাধ্যমে সহজেই এ আগাছা দমন করা যায়।
জৈব দমন- Hypolixus truneatulus নামক
গোবরেপোকা এ গাছের পরজীবি। কিন্ত এ ধরনের
জৈব
দমন বাধাগ্রস্থ হয় উক্ত পরজীবিটির দীর্ঘ জীবন চক্র এবং স্বল্প প্রজনন
ক্ষমতা। Hymenia
recurvlis নামক শুয়াপোকা আগাছাটিকে পাতা
শুণ্য করে দেয়: যেখানে মথের
আক্রমন
বেশী হয় সেখানে প্রতিটি
গাছই আক্রান্ত হয়। কিন্ত এ জন্মের
বহু
পোষক থাকায় ও প্রকৃয়ার মাধ্যমে জৈব আগাছা দমন যথাপোযুক্ত হবে কারন ইহা অনেক
আগাদী
শাকসব্জীরো ক্ষতি করে থাকে।
উদ্ভিদ
সংক্রান্ত তথ্য:
আকৃতি: ইহা
একটি খারা এবং
বহু শাখা প্রশাখাযুক্ত বিরুত।
মুল : এক অথবা
একাধিক বহু শাখান্বিত ও বিস্তৃত খারাভাবে প্রথিত
মুল।
কান্ড: কান্ড নলাকৃতির, মসৃন এবং শীর
দ্বারা যুক্ত।
পাতা: প্রতি শৃগ
অবস্থিত, লম্বা
বৃন্তযুক্ত, ৪-১০ সেমি লম্বা
এবং ১.৫-৫.৫ সেমি চ ওড়া, গোড়ার দিক
প্রশস্ত, আগার দিক সরু ও
গোলাকৃতিরম ইহা মাথায় একটি সুক্ষ সুচালো অংশযুক্ত । কিনারা মসৃন, ৭ থেকে ৮ টি
পার্শ্ব
শিড়াযুক্ত। উপর ও নিম্ন পৃষ্ঠ মসৃন এবং অসংখ্য ছোট
চকচকেযুক্ত।
পুস্প
মঞ্জুরী : কান্ডের
শাখায় অথবা পাতার কক্ষে সরল অথবা
শ্বাথান্বিত মঞ্জুরী বিশিষ্ট, ২.৫ থেকে ১২ সেমি
লম্বা এবং ২-৫ সেমি প্রস্থ। ফুল অবৃন্তক, ছোটম ফনসনি
বিশিষ্ট, সবুজ রংয়ের যা
গোলাকৃতির এথবা একত্রিত স্পাইডফল। বৃন্ত ৩ টি, ১ সেমি লম্বাম
সরু এবং লেন্স আকৃতির। পুংকেশর ৩টি। স্ত্রী
ফুলগুলো
স্পাইক পুস্প মঞ্জুরীর গোড়ার দিকে জন্মে এবং যা পংপুস্পের চেয়ে সংখ্যায়
বেশি
জন্মাতে দেখা যায়। স্পাইকের আগার
দিকে জন্মানো পুংপুস্পের
মধ্যে পংকেশর ৫টি থাকে।
ফল- ফল হচ্ছে
গোলাকৃতির অবিদারী ক্যাপ্সুল, ১.২ সেমি লম্বা
এবং ১
সেমি ব্যাস বিশিষ্ট, একটি মাত্র বীজ
থাকে।
ফলের
উপরের অংশে একটি
সংক্ষিপ্ত ত্রিবিভক্ত গর্ভমুন্ড থাকে।
বীজ- ১-১.২৫ মিমি ব্যস
বিশিষ্ট, বাদামী বা
কালো
রংয়ের উজ্জল সামান্য চাপা,
জালিকা
বিন্যাসযুক্ত এবং জালিকার উপর
সামান্য বাড়তি অংশযুক্ত।
চারা- বীজপত্র
বৃন্তযুক্ত, সরুলম্বা অথবা
লেন্স আকৃতির। পত্র ফলক ১৮ মিমি লম্বা এবং ৩
মিমি চ ওড়া, মসৃন , শিরা বিন্যাস
অদৃশ্য থাকে। নীচের দিক লোহিত
বর্নের হতে পারে।
প্রথমপত্র সরল, প্রতিমুখী ও
লম্বা বৃন্তযুক্ত। পত্র ফলক
প্রথমে মাকু-আকৃতির হয়ে
থাকে পরে
ডিম্বাকৃতির হতে দেখা যায়। পত্রের উপর
পৃষ্ঠ-গভীরভাবে
উতক্ষিপ্ত। কেন্দ্রিয় শিরা
প্রকটভাবে
Marun গঠন করে । ফলকের নিম্নভাগ
সাধারনত লোহিত বর্ণের হতে
দেখা যায়।